সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
এইচ আর হীরা ॥ রমজান শুরু থেকে খাদ্যের উপর চড়া অভিযানে নেমেছে ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন। প্রতিদিনই চলছে তাদের ভেজাল বিরোধী অভিযান। কিন্তু জরিমানা দিয়ে তা আবার উশল করে নেয় দোকান মালিক। নগরীর অনেক স্থানে ভেজাল বিরোধী অভিযানের ফলে অনেকটাই সচেতন হয়ে পড়েছে সাধারন বিক্রয়তারা। কিন্তু সবার দৃষ্টি থাকে সেদিকেই। এদিকে ক্রেতাদের গলা কাটছে নগরীর ভিআইপি শপিংমল ও ভিআইপি মার্কেট গুলোতে। বিগত বছর গুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপনি বিতান গুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছিলো।
বরিশালের সাবেক জেলা প্রশাসক গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান এর সময় বরিশাল সমস্যা ও সম্ভাবনার ফেইজবুক গ্রুপে অনেকেই বেশি দাম নিয়ে পোষ্ট দিলে বিষয়টি নজরে আসে তার। তবে আসলেই সবার দৃষ্টি দেয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন নগরীর সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, একটি কাপড় বা থ্রিপিচ কম দামে ক্রয় করে দামী ব্যান্ডের ষ্টিক্রা ব্যবহার করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। আসলে আমরা কেউ খুজতে যাই না কোন পন্যর কি দাম।
সচেতন মহল জানান, আসলে এখানে জেলা প্রশাসনের অভিযান দেয়া দরকার। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এদের শাস্তির আওতায় আনলে নগরীর খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এই ঈদে পরিবারের জন্য কিছু ক্রয় করতে পারবে বলেও মনে করেন তারা। গতকাল নগরীর বিভিন্ন ভিআইপি শপিংমল গুলো ঘুরে দেখা গেছে নিম্মমানের পোষাাক দামী ব্রান্ডের ষ্টিকার ব্যবহার করে অতিরিক্তি দামে বিক্রি করছে। কথা বেশ কয়েক দোকানের ম্যানেজারের সাথে তারা জানান, এই দোকানে অনেক টাকা জামানত দেয়া আছে। অনেক কর্মচারী কাজ করছে অনেক টাকা লাইট বিল হয় এসব টাকা এই পোষাক থেকেই উত্তোলন করতে হবে।
তা না হলে কিভাবে দোকান চালাবো। গতকাল শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে পোষাক এর দোকানে নি¤œমানের পোষাকের গায়ে ব্রান্ডের ষ্টিকার সাটিয়ে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে। গতকাল নগরীর প্রানকেন্দ্র বিবির পুকুর পাড় সংলগ্ন ফাতেমা সেন্টারে গেলে দেখা যায়, কয়েকটি পোষাক দোকানে ঢাকা থেকে নিম্নমানের পোষাক ক্রয় করে বরিশালে নিয়ে এসে তারা তাদের দোকানের স্টিকার সাটিয়ে চড়াও মূল্যের সিল দিয়ে পোষাকের উপরে টানিয়ে দেয়।
এর মধ্যে দেখা গেছে, রুবা ফ্যাশন, ধুলিয়া, রিচম্যান, চন্দ্রবিন্দু পোষাক বাজার সহ কয়েকটি দোকানে এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে। অন্যদিকে নগরীর গির্জা মহল্লা ও চকবাজার এলাকার বেবিলন, বৈশাখী, নেক্সট প্লাসসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানেই একই কাজ করছে। তবে সবার দাবী জেলা প্রশাসন যাতে করে অভিযান পরিচালনা করেন।
বিষয়টি কথা হয় বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের সাথে তিনি জানান আমরা অচিরেই এসব অভিযাত দোকান গুলোতে অভিযান পরিচালনা করবো। এসব দোকানে মূল ম্যামোর সাথে ষ্টিকার এর দামের সাথে মিল হবে না এমনটাই জানালেন পোষাক কিনতে আসা লিমা আক্তার।
তিনি বলেন, বর্তমান মার্কেটে সবচেয়ে বেশি দাম হচ্ছে ভারতীয় চ্যানেলের বিভিন্ন নটকের নাম করন পোষাক। তবে বেশি কদর রয়েছে পরকীয়া নামের পোষাকটির। তবে আগের তুলনায় অনেক বেশি দাম রাখছে। চকবাজারে গেলে কথা হয় সোনিয়া নামের আরেক নারী ক্রেতার সাথে তিনি জানান, অনেক দোকানে নিম্মমানের পোষাক রয়েছে কিন্তু বিভিন্ন ষ্টিকার দিয়ে অতিরিক্ত দাম হাকিয়ে রেখেছে। এসব কারনেই অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছে সাধারন ক্রেতারা।
Leave a Reply